জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কৌশল হিসাবে লবনাক্ত জমিতে মিনি পুকরের সাহার্য্যে সবজী চাষ।

জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কৌশল  হিসাবে লবনাক্ত  জমিতে মিনি পুকরের সাহার্য্যে সবজী চাষ।

বাংলাদশেরেমোটউপকূলীয়জমরিপরমিাণ১.৬৮৯মলিয়িনহক্টের।তার মধ্যে বভিন্নি মাত্রার লবণাক্ত কবলতি জমরি পরমিাণ১.০৫৬মলিয়িনহক্টের।উপকূলয়িএলাকায়রবফিসলউৎপাদনরেমূলসমস্যালবনাক্ততাওমষ্টিসিচেপানরিঅভাব।মষ্টিসিচেপানরিঅভাবউেপকূলয়িএলাকারঅধকিাংশজমরিবমিৌসুমপেততিথাক।

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি উপজেলা দাকোপ। এ উপজেলায় মোট চাষযোগ্য জমি ১৯৮৩০হে: এর মধ্যে ১৯০৫০ হে: জমিতে আমন চাষ হয়। কিন্তু রবি মেীসুমে লবনাক্ততার কারনে এবং মিষ্টি সেচ পানির অভাবে প্রায় ৯০% জমি পতিত থাকে।  পার্শ্ববর্তী বটিয়াঘাটা, কয়রা ও পাইকগাছা, রামপাল ও মংলা উপজেলায় প্রায় একই চিত্র পরিলক্ষিত হয় ।
এ অঞ্চলের  ভূ-গর্বস্থ পানি অত্যন্ত লবনাক্ত ও উচ্চ মাত্রার আয়রনের উপস্থিতির কারনে কোন অবস্থায় ভূগর্ভস্থ  পানি সেচ কাজে ব্যবহার করা যায় না। বৃষ্টির পানির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা এবং খালগুলো বেদখল হয়ে যাওয়ার কারণে শুষ্ক মৌসুমে সেচের পানি থাকে না। ভূ-গর্বস্থ  পানি ব্যবহার না করার কারনে শুধু উপরের পানি দিয়ে সামান্য পরিমান সবজি এবং তরমুজের চাষ হচ্ছে। রবি এবং খরিপ-১ মৌসুমে সেচেরে পানির অভাবে ৯০% জমি পতিত থাকে।

এছাড়া বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাড়িয়েছে। আমাদের দেশে প্রতিবছর ১.৪% হাওে জনসংখ্যা ব্রদ্ধি পাচ্ছে। সে সাথে প্রতিবছর ১% হারে কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া প্রতি বছর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বষ্টিপাত, ঝড়, বন্যা ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে জমিতে লবনাক্ততার পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কৃষি কাজ দুরুহ হয়ে পড়েছে।  পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে সাথে উদ্ভাবিত  হেেচ্ছ  নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা।

মিনি পুকুর এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে একই জমিতে সবজী-মাছ বা মাছ- অন্যান্য ফসল একসাথে অত্যন্ত লাভজনক ভাবে উৎপাদন করা যায়। সাধারণত একটি জমির ৫  ভাগের এক ভাগ পুকুর কেটে ঐ মাটি দিয়ে জমির বাকী অংশ উঁচু করা হয়। বর্ষার সময় ঐ সমস্ত পুকুরে  মিষ্টি পানি জমা হয় এবং ঐ মিষ্টি পানিতে মাছ চাষ করা হয় এবং উঁচুকৃত বেডে সবজীসহ অন্যান্য ফসলে ঐ মিষ্টিপানি সেচ কাজে ব্যবহার করা হয়। জমির চারদিকে একটি বেড়া দেওয়া হয়এবং বেড়াতে সারা বছর ব্যপি শিম, হাইব্রিড বরবটি চাষ করা হয় এবং বছরে  প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকার সবজি পাওয়া যায়।এছাড়া  উঁচুকৃত বেডে  সারা বছর বেগুন , গ্রীষ্মকালীন  টমেটোসহ বছর ব্যপি অন্যান্য ফসল চাষ করা হয় এবং প্রায় ৮০হাজার টাকা হতে  এক লক্ষ টাকার  সবজি  পাওয়া যায় । এছাড়া  পুকুরের ভিতরের পাড় দিয়ে বিভিন্ন  লতানো সবজী যেমন শসা, করলা,মিষ্টি  কুমড়া, লাউ, ঝিঙ্গা ইত্যাদি  চাষ করা হয় যা পুকুরের পানির উপরে নেটে  থাকে এবং বছরে প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকার সবজী পাওয়া যায়। এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে এর সাহায্যে বিভিন্ন প্রকার সবজী, তরমুজ, ডাল জাতীয় ফসল,  ফল সহ  সকল প্রকার ফসল চাষ সম্বভ হবে । আগে যেখানে ১বিঘা জমিতেকেবল মাত্র আমন করে ৩-৫ হাজার টাকা পাওয়া যেত সেখানে বর্তমানে এ পযুক্তির মাধ্যমে ২-২.৫ লক্ষ টাকা অনায়াসে আয় করা সম্ভব হ্ ।