বাগাদী ইউনিয়নে NATP প্রকল্পের প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণের প্রভাবে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার বিস্তারিত বিবরণঃ

বাগাদী ইউনিয়নে NATP প্রকল্পের প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণের প্রভাবে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার বিস্তারিত বিবরণঃ


চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত বাগাদি ইউনিয়ন। উক্ত ইউনিয়নের কিছু অংশ চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বাহিরে এবং কিছু অংশ চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের ভিতরে অবস্থিত। চাঁদপুর সদর হইতে ৬ কিঃ মিঃ দক্ষিণে চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ সড়কের উভয় পাশে অবস্থিত। এনএটিপি প্রকল্প শুরুর আগে উক্ত এলাকায় কৃষকদের কোন সংগঠন ছিল না। তাহারা জমিও মাটির প্রকার ভেদে কোন মাটিতে কি ধরনের ফসল ফলাতে হবে তাহা সর্ম্পকে সচেতন ছিল না। তাদের নিজ ইচ্ছামত অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলাতেন। তাহরা  ১হেঃ জমিতে ফুলকপি ২.৫০ হেঃ জমিতে বাঁধাকপি ২.০০ জমিতে টমেটু মুলা, লাল শাক, ২.০০ হেঃ জমিতে আবাদ করত। যাহায় হেঃ প্রতি উৎপাদন ৩৫ মেঃ টন হতো। তাহারা আধুনিক ও হাইব্রিড ও জাতের বীজ সর্ম্পকে খুব একটা জানতনা। ফসল উৎপাদনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, সার প্রয়োগের মাত্রা নিধারণ প্রয়োগ পদ্ধতি, কীটনাশকের প্রয়োগ পদ্ধতি মাত্রা নিধারন না করে এলোপাথাড়ী যত্রতত্র ভাবে কীটনাশক প্রয়োগ করে ফসল ফলাতো। উক্ত জ্ঞান গুলি সর্ম্পকে ধারনা না থাকার কারনে উৎপাদন খরচ বেশী করেও আশানুরূপ ফলন পেত না। 

২০০৮/ ২০০৯ইং সনে চাঁদপুর সদর উপজেলায় NATP প্রকল্প শুরু হওয়ার পর বাগাদী ইউনিয়নে ধানের ফলন পার্থক্য কমানো অডউ ব্যবহার করে সেচ ব্যবস্থাপনা সবজির জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনা সেক্স ফেরোমন মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জৈব সার ব্যবহার ও উৎপাদন এর উপর প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ প্রদান করায়। অত্র ইউনিয়নে শাকসবজির আবাদ ফুল কপি ২.৫০ হেঃ বাঁধাকপি ৩.০০ হেঃ গাজর ১.০০হেঃ টমেটো হাইব্রিড ৩.০০ হেঃ বেগুন ৩.০০হেঃ আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং হেক্টর প্রতি উৎপাদন ৫০/ ৫৫ মেঃ টন হয়েছে। তাছাড়া সবজিতে জৈবিক কীটনাশক, সেক্স ফেরোমন, ব্রাকন, ট্রাইকোগ্রামা প্রয়োগের ফলে বিষমুক্ত শাক সবজি উৎপাদন করায় শাক সবজির দাম ও বেশী পাওয়ায় আর্থিক ভাবে সফলতা অর্জন করেছে। কৃষকরা অত্র এলাকায় ধানের জমিতে বেশী বয়সের চারা রোপন, অসম মাত্রায় সার প্রয়োগ, এলো পাথাড়ী কীটনাশক ব্যবহার করতো। হাইব্রিড আবাদ সর্ম্পকে ধারনা ছিল না। মনো করতো জমিতে সব সময় বেশী পানি রাখলে বেশী ফলনপেত। কিন্তু NATP থেকে প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী পাওয়ায় তাহারা কম বয়সের চারা রোপন, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ পদ্ধতি, সঠিক সময়ে, সঠিক মাত্রায় সঠিক কীটনাশক, ও সঠিক প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা পায়। হাইব্রিড আবাদ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে, AWD পদ্ধতি ব্যবহার করে সেচ ব্যবস্থা গ্রহন করে উক্ত প্রযুক্তি গুলি ব্যবহার করায় হেক্টর প্রতি উৎপাদন খরচ প্রায় ২৫০০০/- টাকা কম হয়। অন্য দিকে ধানের ফলন ও হেক্টর প্রতি ৩.৫০ মেঃ টন বেশী পাওয়ায় তাহারা আর্থিক ভাবে লাভবান হয়। এতে সাবিক ভাবে এলাকার ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। অত্র এলাকার চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকার আওতাধীন হওয়ায় এলাকার কৃষকগন একই জমিতে বার বার ফসল আবাদ, অসম মাত্রায় সার প্রয়োগ করায় মাটির জৈব পদার্থের পরিমান ০.০১% পোঁছছে। তাতে করে মাটিতে অন্যান্য গৌণ উপাদান গুলির অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে।রাসায়নিক সার প্রয়োগ করেও ভাল ফলন পায় না। NATP প্রকল্পের আওতায় মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জৈব সারের ব্যবহার ও উৎপাদনের উপর প্রদর্শনী প্রশিক্ষন গ্রহন করায় তাহারা জৈব সার ব্যবহার ও তৈরী সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে। তাতে করে অত্রালাকায় মাটির স্বাস্থের উন্নতি ঘটেছে। এর প্রভাবে সঠিক ভাবে সকল  ফসলের উৎপাদন ফসল ভেদে হেঃ প্রতি ০.৫ মেঃটন হইতে ২.০০মেঃটন পর্য ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘঅঞচ প্রকল্পের বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাহাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় এলাকাবাসী অত্যন্ত আনন্দিত।