ভূট্টার চাষ পদ্ধতি ও মাঠ ব্যাবস্থাপনা

ভূট্টার চাষ পদ্ধতি  ও মাঠ ব্যাবস্থাপনা


                                                                                           

       

বহুমুখী  ব্যবহারের কারণে ভূট্টা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছ।ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার পুষ্টিমান বেশি। এতে প্রায় ১১% আমিষ জাতীয় উপাদান রয়ছে।আমিষে প্রয়োজনীয় এ্যামনিো এসিড, ট্রিপ্টফেন ও লাইসিন অধিক পরিমানে আছে।এছাড়া হলদে রং এর ভুট্টা দানায় প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন বা ভিটামিন"এ" থাকবে।ভুট্টার দানা মানুষের খাদ্য হিসাবে এবং ভুট্টার গাছ ও সবুজ পাতা উন্নত মানের গোখাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসাবেও এর যথষ্টে গুরূত্ব রয়ছে।বেলে  ও ভারী এটেল মাটি ছাড়া অন্যান্য সব মাটিতে ভুট্টার চাষ ভাল হয়। তবে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল ও  উর্বর বলেে দো-আঁশ মাটি ভুট্টার চাষের জন্য উপযুক্ত। খরিপ মৌসুমে ভুট্টার চাষ করতে হলে উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে যেন বৃষ্টির পানি জমতিে জমতে না পারে।রবি মৌসুমে নভম্বেররে শুরু হতে ডিসেম্বরের ১ম সপ্তাহ এবং খরিপ-১ মৌসুমে মধ্য র্মাচ থকেে এপ্রলিরে শেষ সপ্তাহ্। বন্যার পানি তাড়াতাড়ি সরে যাবার পর মধ্য অক্টোবর হতে মধ্য নভম্বের বীজ বপন করা যায়। এছাড়া আমন কাটার পর দক্ষিণাঞ্চলে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি  মাসেও বীজ বপন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।দেশের বিভিন্ন  র্বণালী,শুভ্রা, মোহর, বারি ভুট্টা-৫,  বারি ভুট্টা-৬, বারি ভুট্টা-৭,বারি হাইব্রিড ভূট্টা –(১-১৫), এনকে-৪০,প্যাসিফিক-১১/৯৮৪/৯৮৭, ব্র্যাক-৬০/৯৮৪,সোয়ান-২,প্রোলনি,  সানসাইন, ৯৮১,সুপার সাইন ২৭৬০ প্রভৃতি জাতের ভূট্টার চাষাবাদ হচ্ছ।জমিতে সঠিক মাত্রার সার প্রয়োগের উপর কাঙ্খিত ফলন অনেকাংশে নির্ভর করে।ভূট্টা চাষে বভিন্নি সারের ডোজ দেয়া হলো।


সাররে নাম          হেক্টর প্রতি (কেজি)

ইউরিয়া                       ৫৩০-৫৮০

টিএসপি                      ২৬০-৩০০

এমওপি                       ১৮৫-২৩৫

জিপসাম                          ২১০-২৩৫

জিংক সালফটে                ১২-১৫

বরিক এসডি                 ৫-৮

গোবর/র্আবজনা পঁচা সার        ৪৪৫০-৫০০০

 র্বতমানে ভুট্টার পাতা ঝলসানো রোগরে আক্রমণ দেখা যায়। এক্ষত্রেে গাছরে নীচের দিককার পাতা প্রথমে আক্রান্ত হয় এবং তা ক্রমান্বয়ে উপররে দকিে বিস্তার লাভ করে।ফলে পাতা আগাম শুকয়িে যায় এবং অনকে সময় পুড়ে যাওয়ার মত মনে হয়।  দমন ব্যবস্থা: টিল্ট অথবা টেবুকুনাজল জাতীয় ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ সিসি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর ৩/৪ বার গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।অনেক ক্ষেত্রে ভুট্টা গাছে চারা অবস্থায় কাটুই পোকার আক্রমন দখো যায়।  দমন ব্যবস্থা: চারা অবস্থায় কাটুই পোকা গাছের গোড়া কাটে ফসলের ক্ষতি করে।আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে পানি সেচ বিষ টোপ বাসুডিন ১০ জি বা ফুরাডান ৩ জি ব্যবহার করা যতেে পারে। শক্ত কান্ডে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে।ফলে গাছে মাইজ মরা লক্ষন দেখা যায় ও মোচা হয় না। এক্ষত্রেে সুমিথিয়িন ৫০ ইসি বা এগ্রোথিয়ন ৫০ ইসি ১.১২ লিটার ঔষধ ৫০০ থকেে ১০০০  লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।মোচা খড়ের রং ধারণ করলেও পাতা কিছুটা হলদে হয়ে এলে বুঝতে হবে মোচা সংগ্রহের সময় হয়েছে।মোচা থকেে ছড়ানো দানার গোড়ায় কালো দাগ দেখা দিলে মোচাগুলো গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।বোরো ধানের চাষ কিছুটা কমিয়ে দিয়ে ওইসব জমিতে ভুট্টা চাষের দিকে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। ভুট্টার দাম সরকারি ভাবে নির্ধারন করা হলে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবে।খরচ কমের জন্য কৃষক ব্যাপকভাবইে ভূট্টা চাষ করতেছে। ভূট্টার ব্যাপক চাষের কারণে লালমনরিহাট জেলার ব্র্যান্ডিং হিসাবে স্থান পেয়েছে।